নীল পানির লেক
রাজা সিরাজ: পুকুরের পাড়ে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘বিপজ্জনক পুকুর, পানিতে নামবেন না।’বিরিসিরির নীল পানির লেকটিকে স্থানীয়রা চিনামাটির লেক, চুনাপাথরের লেক, নীল পুকুর প্রভৃতি নামে সম্বোধন করে থাকে। শীতকালে এই লেকের নীল পানি হল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ছোট এই লেকটিকে আপনি পুকুরও বলতে পারেন। সাধারণত শীতকালে পুকুরের পানি কাদাটে সবুজ রঙের হয়ে থাকে। কিন্তু এই লেকের পানি চিনামাটির জন্য নীল রঙ ধারন করে। চিনা মাটি খনন করার পর পুকুরের পানি নীল রঙ ধারন করে। স্থানীয়দের মতে পুকুরটির গভীরতা প্রায় ৬০ ফুট থেকে ৮০ ফুট।
চিনামাটিতে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এই পুকুরের পানির স্বাদ তেতো। সম্ভবত প্রচুর পরিমানে কপার সালফেট থাকার কারনে এখানকার পানি নীল রঙ ধারন করেছে।
নীল এই লেকটিতে যাওয়ার পথে আশেপাশের ছবির মত দৃশ্যের পাশাপাশি সমেশ্বরী নদীর অপার সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হবেন। পুরো যাত্রাপথটি এতটাই আনন্দদায়ক যে আপনার বারবার যেতে মন চাইবে। আপনি যদি একজন আত্মবিশ্বাসী সাঁতারু হয়ে থাকেন তবে লেকের পানিতে শরীরকে ঠাণ্ডা করতে সাথে করে শর্টস আনতে পারেন। তবে সাঁতার না জানলে ভুলেও লেকের পানিতে নামবেন না।
সম্ভবত এটি বাংলাদেশের একমাত্র নীল পানির চিনামাটির লেক। ময়মনসিংহে আরো একটি চিনা মাটির লেক থাকলেও সেটি এই লেকের মত এত সুন্দর নয়। তাই কোনকিছু ফেলে লেকের পানিকে দুষিত করবেন না।