অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনা সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি পরিষ্কার তথ্যচিত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদ, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, আলামতসহ সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কিছু নিয়ে এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। রিমান্ডে থাকা আসামিরা চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। চারজন পুলিশ সদস্য এবং তিনজন স্বাক্ষীর রিমান্ড শেষ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার পর পরবর্তী সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের রিমান্ডে আনার প্রয়োজন মনে করলে পুনরায় তাদের রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে তদন্তের কার্যক্রম আরও এগিয়ে নেওয়া হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের দেওয়া তথ্য আপাতত প্রকাশ করা যাবে না।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ’রামু থানায় নীলিমা রিসোর্ট থেকে উদ্ধার ২৯টি উপকরণ জিডিমূলে সংরক্ষিত আছে। সিনহা ও শিপ্রার ব্যবহৃত সকল ব্যক্তিগত ডিভাইস, ২৯টি উপকরণ তদন্তকারী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২৫ তারিখ থেকে থেকে ৬ আগস্ট তারিখ তারিখ পর্যন্ত সময়ের টেকনাফ থানার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত সেসব উপকরণ তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে টেকনাফ থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হলে কারিগরি ত্রুটির কারণে ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।