নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক মো. নূরুল হুদা আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও মীর আহাম্মদ আলী সালাম রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
এর আগে মঙ্গলবারই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন সিএমএসড’র উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিকেল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলা দায়ের করার পরপরই জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম গ্রেপ্তার করে। মামলায় বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যদের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, ওই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মানের মাস্ক নয়। ওই সব মাস্ক ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন থেকে দুদক কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।