মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় মসজিদে ৫ জনের বেশি নামাজ পড়া নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সুজন শেখ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন । নিহত সুজন শেখ বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে। সোমবার সকালে উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে আধিপত্য নিয়ে কেরামত মুন্সির সঙ্গে ইলিয়াস মাতব্বরের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি একটি বিরোধপূর্ণ জায়গায় কেরামত মুন্সির লোকজন ঘর তোলে। এতে ইলিয়াসের লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। রোববার রাতে এশার নামাজে গ্রামের মসজিদে প্রচুর লোকসমাগম হয়। কেরামত মুন্সির সমর্থক সুজনের বাবা মজিবর শেখ মসজিদের মধ্যে পাঁচজনের বেশি নামাজ পড়া যাবে না বলে প্রতিপক্ষ ইলিয়াসের লোকজনের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ফজরের নামাজের পর দু’পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ২০ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মসজিদে পাঁচজনের বেশি নামাজ পড়া যাবে না বলে গ্রামের বিবদমান দু’পক্ষ রোববার রাতে এশার নামাজের সময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে ফজরের নামাজের পর দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একজন নিহত হন। তার মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মুকসুদপুর থানা পুলিশের ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।