মাদক সেবনকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ২১ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে।
অভিযান পরিচালনার সময় ছাত্র ও চাকরিজীবীসহ মোট ২১ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৮ জন চাকুরীজীবী ও ১৩ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুইজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেন্দ্রীক মাদকসেবীদের বিষয়ে জানতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী এসব অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা চায়। পরে যৌথ অভিযানে ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদেরকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তারা অন্য কোনো কাজে জড়িত কিনা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, অচিরেই আমরা ক্যাম্পাসে মাদকের মূলোৎপাটন করবো। এর মাধ্যমে মাদকমুক্ত ঢাবি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানরা কোথায় কি করেন তার খোঁজ রাখেন। তাদের কাউন্সিলিং করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকাসক্তদের জন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদকাসক্তদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অভিভাবক, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সচেতন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় মাদকাসক্তরা এটিকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেঁচে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম তাদের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান পরিচালনা করছে। কাউকে যদি এসব কাজে জড়িত পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।