ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুদর্শণ নায়ক জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদকও তিনি। পরীমনিকা-ের পর আতঙ্কে আছেন দুনম্বরী নায়িকাদের দালাল হিসেবে পরিচিত এই নায়ক। তার আতঙ্কের কারণ অনুসন্ধান জানা গেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি অভিনয় করেছেন ৪/৫ টি ছবিতে কিন্তু একটি ছবিও ব্যবসাসফল হয়নি। লস দিতে দিতে সিনেমার প্রযোজকরা বাড়িতে গিয়ে অন্য ব্যবসা শুরু করেছেন। কিন্তু জায়েদ খান হয়েছেন বাড়ি-গাড়িসহ শতবোটি টাকার মালিক। তার বৈধ কোন ব্যবসা বাণিজ্য নেই, তাহলে কোথায় পেলেন এই টাকা? অনুসন্ধানে দেখা যায় শিল্পপতি, বড় ব্যবসায়ী ও নারীদেহলোভী, নায়িকা এবং মডেলদের প্রতি আসক্ত সরকারী আমলাদেরকে নারী সরবরাহ করা, ডিজে পার্টি ও মুজরা পার্টির আয়োজন করে সুযোগ বুঝে অশ্লীল ভিডিও ধারন করাই পেশা। একারণেই আতঙ্কে আছেন তিনি।
জি কে শামীমকে নায়িকা পাঠাতেন জায়েদ খান!
চলচ্চিত্র সূত্র জানায়, ঠিকাদার কিং খ্যাত জি কে শামীমকে চলচ্চিত্র জগতের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা ছাড়াও নব্য নায়িকা বনে যাওয়া মেয়েদেরকেও পাঠাতেন জায়েদ খান। তবে সবার নাম আলোচনায় আসলেও জায়েদ খান বরাবরই অধরা। তার কথা যে নব্য নায়িকা না শুনতেন তার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের খড়গ চালাতেন জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সভাপতি’র সাধারণ সম্পাদক বনে গিয়েই তিনি বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির উঠতি নায়িকাদের বড় বড় রাঘববোয়ালদের নিকঠ পাঠাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। জানা গেছে, তার আপন ভাই পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল। তিনি ডিএমপিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। নামে নামে জমে টানে’ কথার বাস্তবতা এ পুলিশ কর্তার বেলায় হুবহুব মিল রয়েছে। সাবেক পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক৷ এই আইজিপি’র নাম আর জায়েদ খানের ভাইয়ের নাম এক হওয়াতে ভাইকে আইজিপি বলেই পরিচয় দিতেন বিভিন্ন মহলে। তবে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হকের সাথেও জায়েদ খানের সম্পর্ক ছিল সু-মধুর। অভিযোগ রয়েছে, বিপাশা নামের এক অশ্ল¬ীল নায়িকার সাথে জায়েদ খান সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সূত্র ধরেই সাবেক এই আইজিপি ওই নায়িকার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এছাড়াও জায়েদ খানের কথায় অন্য এক নায়িকাকে সাবেক পুলিশের এ কর্তা গুলশানে একটি ফ্ল্যাটও কিনে দেন। এই পুলিশ অফিসের শাসনামলে পিরোজপুর এলাকায় পুলিশের পাহাড়ায় এক হিন্দু পরিবারের একটি ক্লিনিকও দখল করে নেন জায়েদ খান ও তার ভাই। হিন্দু পরিবারের অভিযোগ, এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে ক্লিনিকের মালিক বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদারকে রাজধানী শহর থেকে বেশ দূরের স্থান ঝিনাইদাহ রেল লাইনের পাশে ফেলে দেন এ চক্রটি। বর্তমানে এই পরিবারের সদস্য গীতা রানী মজুমদার ও বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদার এক ধরনের বন্দি জীবন যাপন করছেন।
সূত্র জানায়, পুলিশের হাতে আটক ক্যাসিনো মালিক ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীম গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, টেন্ডার পেতে চলচ্চিত্রের নায়িকাদের ব্যবহার করতেন তিনি! আর এগুলো সাপ্ল¬াই দিতেন চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এতেই নড়েচড়ে বসেছিল চলচ্চিত্র অঙ্গন। যদিও গণমাধ্যমে কোনও নায়িকার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে আকার ইঙ্গিতে কিছু নাম উঠে আসছে। বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী রতœা, এ প্রজন্মের নায়িকা মিষ্টি জান্নাত, রাহা তানহা খান ও শিরিন শীলার নাম এখন ঘুরে ঘুরে উচ্চারিত হচ্ছে অনেকের মুখে। তবে তাদের মধ্যে রতœা, মিষ্টি জান্নাত ও রাহা তানহা খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, তারা কেউ জি কে শামীম নামে কাউকে চেনেন না। অন্যদিকে মিষ্টি জান্নাত একটি বেসরকারি টেলিভিশনে স্বীকার করেছেন তিনি জি কে শামীমের কথা মত বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে দেখা করতেন।
রতœা জানান, প্রকাশিত প্রতিবেদনে যাদের নাম ইঙ্গিত করা হয়েছে তাদেরও উচিত এটা নিয়ে স্টেটমেন্ট দেওয়া, যদি তারা সৎ থাকেন। তাতে করে তদন্তে সত্যটা বেরিয়ে আসবে। মডেল ও অভিনেত্রী রাহা তানহা খানের মতে, নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য অনেকেই নায়িকাদের নাম ব্যবহার করেন। তার ভাষ্য, কেউ কোথাও ধরা পড়লে সেখানে নায়িকার নাম জুড়িয়ে দেন। এটা এর আগেও হয়েছে। এটা একদম ঠিক না। এসময় তিনি জি কে শামীমকে চেনেন না বলে জানান। রাহা বলেন, জি কে শামীম নামে আমি কখনো কাউকে চিনতাম না। নামই শুনিনি কোনোদিন। যদি চিনতাম তাহলে বলতে পারতাম। এখন যদি কেউ আমার নাম জড়িয়ে দেয় তাহলে আমার কিইবা করার থাকে!
তিনি আরও বলেন, আমাদের পেছনে অনেক কোটিপতি ব্যক্তিরা ঘোরে। ঘুরতেই পারে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জি কে শামীমের মতো দালালের প্রয়োজন হয় না। গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে সেটা ভিত্তিহীন। আমি কখনো কারও অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।
তবে একাজে পপিকেই বেশি ব্যবহার করেছেন জায়ে খান। পরবর্তীতে পেমেন্ট নিয়ে ঘাপলা হলে জায়েদেও সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন পপি। এ ফেসবুকে অনেক বাধানুবাধ হয়েছে সেসময।

জায়েদের সঙ্গে অপুকে হাতেনাতে ধরেছিলেন শাকিব
‘অপু বিশ্বাসের ঘর ভেঙেছে আমার কারণে, এরকম অনেক ব্লেইম দেওয়া হয় আমাকে। আসলে এরকম কিছুই ছিলো না। শাকিব ভাই বিভিন্ন টেলিভিশনসহ অনেক জায়গায় বলেছে যে, অপু বিশ্বাসকে আমি জায়েদের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেছি!আমি খুবই লজ্জিত হয়েছি যে অপু বিশ্বাস তার স্ত্রী; এটা কিভাবে বলতে পারে শাকিব ভাই, আমি বুঝি না। এটা খুবই বাজে একটা কথা।’
সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে কথাগুলো বলছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লম্পট, দু’নম্বরী নায়িকাদের দালার ও সাপ্লায়ার হিসেবে পরিচিত জায়েদ খান। সেখানে তিনি আরো বলেন, আমি গুলশানে অপু বিশ্বাসের বাসার নিচে তার বোনসহ কথা বলতেছিলাম। আমি তখন একটা সিনেমার বিষয়ে কথা বলতেছিলাম। একটা হিরো একটা স্টার নায়িকার সাথে কাজ করতে চাইতেই পারে। আর তখন আমরা জানতামও না যে সে (অপু) তার স্ত্রী ছিলো। কারণ বিষয়টা তখনও গোপন ছিলো।
আমরা তখন কথা বলতেছিলাম এরমধ্যেই শাকিব ভাই এসে দেখে অপু বিশ্বাসকে মারতে শুরু করেছে। আমার সামনে অপুকে লাথি মারলো। তখন আমি শাকিব ভাইকে বললাম ভাই, এটা কী করলেন?‘বাসার দারোয়ানরা দেখছিলো এসব। তখন আমি ভাইকে সাইডে নিয়ে গিয়ে বললাম ভাই, আপনি একজন স্টার মানুষ;
আপনি এসব করলে, এখানে দারোয়ান আছে, মানুষজন দেখলে কী বলবে? তখন শাকিব ভাই বলল, না না আমি আর ওর সাথে নাই।‘এরপর এগুলো নিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, আমি অপুকে জায়েদের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেছি! এই কথাগুলো আমার খুব খারাপ লেগেছে। তিনি একজন সিনিয়র শিল্পী; তিনি কিভাবে এটা বলতে পারলেন?
প্রযোজক হতে শাকিবকে স্বামী বানালেন অপু!
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৯২ হাজার টাকা বাঁচাতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। প্রযোজক সমিতির সদস্যপদের আবেদনে ‘স্বামীর ঘরে লেখেন প্রাক্তন স্বামী শাকিব খানের নাম। বিব্রত প্রযোজক সমিতি আবেদনপত্র বাতিল করলে পুনরায় আবেদন করে সদস্যপদ নেন তিনি। কেন এমন করলেন অপু বিশ্বাস?
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই নায়িকা যতটা না কাজ নিয়ে তারও বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়ে আলোচনায় আছেন গত কয়েক বছর ধরে। বিরতির পর, ২০১৭ সালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সন্তান নিয়ে হাজির হয়ে শাকিব খানের সঙ্গে দীর্ঘ দাম্পত্য সম্পর্কের কথা সামনে আনেন। তারপরের গল্প সবার জানা। সম্পর্ক, বিয়ে, গোপনীয়তা নিয়ে শাকিব-অপুর টানাপোড়েন সেই সময়ের সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। যার সমাপ্তি ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদে। সম্প্রতি জয় চলচ্চিত্র নামে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন অপু। নিয়ম অনুযায়ী সনদ পেতে আবেদন করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে।
যেখানে, স্বামী হিসেবে লেখেন শাকিব খানের নাম। চেয়েছেন বিশেষ ক্যাটাগরির সুবিধাও, যা নজরে আসতেই অবাক সমিতি। এ প্রসঙ্গে পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, তিনি প্রযোজক সমিতির সদস্য বলে জানান অপু বিশ্বাস।
মূলত শাকিব খানের স্ত্রী হিসেবেই তিনি সুবিধাগুলো চেয়েছেন। প্রযোজক হতে যেখানে জমা দিতে হয় এক লাখ তিন হাজার টাকা, সেখানে বিশেষ ক্যাটাগরিতে মাত্র ১১ হাজার টাকাতেই পাওয়া যায় সদস্যপদ, সেই সুবিধা পেতেই কি সত্যি লুকিয়েছেন অপু? শামসুল আলম আরো বলেন, হয়তো তাকে কেউ পরামর্শ দিয়েছেন এভাবে আবেদন করলে তিনি সুবিধা পাবেন। অপুও সে সুযোগটাই নিয়েছে। আমাদের কমিটির অনেকেই বলেছে, তাকে শোকজ করা হোক। কেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন অপু? অপু বলেন, আমি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী শাকিব খানের স্ত্রী নন অপু।