জনগণের টাকায় সমাজসেবক : দুর্নীতির টাকায় দানবীর!
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আবদুল মান্নান পবিত্র বড় হজ্বের টাকা আত্মসাত করে আলোড়ণ সৃষ্টি করেছিলেন, আর বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছোট হজ্ব অর্থাৎ বিশ্ব এজতেমার টাকা আত্মসাত করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগসহ বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ব্যানারে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত ফাইলটিতে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের পাশাপাশি প্রকৌশলী দেলোয়ার হত্যার মাষ্টারমাই- হিসেবে মেয়র জাহাঙ্গীরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রাজপথ বিচিত্রা’র হাতে ফাইলটি আসার পর পত্রিকার পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী টিম গঠন করে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা/কর্মচারীর সাথে আলাপকালে তারা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে কেউ-ই নাম প্রকাশ রাজী হননি। অনুসন্ধান এখনো অব্যাহত থাকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত সংখ্যায় বিশ্ব এজতেমার নামে আত্মসাত করা বিপূল অঙ্কের টাকার তথ্যগুলো তুলে ধরার পর এবার তুলে ধরা হলো বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ে তার দুর্নীতি ও আত্মসাতের কিছু চিত্র।


গত দুই বছরের দুর্নীতির কিছু চিত্র
জাহাঙ্গীর আলম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেননি। যখন যা ইচ্ছা তাই করেছেন। গত দুই বছরে প্রায় ১২টি মাসিক সভার রেজুলেশনের মাধ্যমে ড্রেন পরিষ্কার শাখা , গাড়ী মেরামত শাখা, পানির পাম্প মেরামত শাখা এবং বিদ্যুত শাখা থেকে ৭ থেকে ৮ হাজার ভূঁয়া জ.ঋ.ছ (রিকুয়েস্ট ফর কুটেশন) ফাইলের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের ৮টি জোনাল অফিস থেকে প্রায় ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়েছে। জানা গেছে ৮টি জোনাল অফিসের কোন ঠিকাদার সেই কাজ করেন নাই, কারন সেখানে কোন কাজ হয় নাই। মেয়রের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনেরা নামে বেনামে ৯টি ঠিকাদারী ফার্মের নামে উল্লেখিত টাকা গ্রহণ এবং আত্মসাত করেছেন। এই কাজের সহযোগীতা করেছে বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ঘুষখোর) কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি মুখে নীতি কথা বললেও প্রতিনিয়ত ৮টি জোনাল অফিসে ভূঁয়া জ.ঋ.ছ তৈরির নির্দেশ অব্যাহত রেখেছেন। আমিনুল ইসলাম বর্তমানে একজন সাপ্লায়ার। সকল জোনের সকল মালামাল যেমনঃ কম্পিউটার, বেলচা, কোদাল, ঝাড়– শলা সবকিছু তিনি সাপ্লাই দিয়ে থাকে। এই ধরনের ভূঁয়া ফাইল মেয়র সাহেবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরিকল্পনায় ৮টি জোনাল অফিসে প্রতিনিয়ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ফোন করে ভূঁয়া ফাইল তৈরীর নির্দেশ দেন। মেয়র একা ৮০%, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ১০% আর অফিসের সকল প্রকৌশলী মিলে ১০% টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মনিরূল ইসলামের ফোনের কল লিস্ট সংগ্রহ করলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি ইদানিং চুপি চুপি সিটি কর্পোরেশনে যাতায়াত করেন এবং বিভিন্ন জোনাল অফিসে ভূঁয়া জ.ঋ.ছ ফাইল তৈরীর নির্দেশ প্রদান করেন। যে সমস্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে ভূঁয়া চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলি মেয়রের নিজের লোকের নামে তৈরী করা হয়েছে। ফার্মের নামগুলি হচ্ছে :- মেসার্স আদিতা এন্টারপ্রাইজ, ডেল্টা এন্টারপ্রাইজ, রয়েল ট্রেড এন্টারপ্রাইজ, এম আর ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ, জিও টেক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেসার্স এস কনস্ট্রাকশন, মেসার্স আমিনুল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জে কে ওয়েলল্ডিং এন্টারপ্রাইজ, (সাপোর্টিং ফার্মের নাম মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ, মিলি এন্টারপ্রাইজ, ইকবাল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স আজিজুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, যাদের নামে কোন ব্যাংক একাউন্ট নাই)। ভূঁয়া প্রকল্পের সমস্ত চেক উল্লেখিত ৯টি ফার্মের নামে উত্তোলন করে আত্মসাতের কাজ ্খনও অব্যাহত রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন চেক রেজিষ্টার বহি দেখলে পরিস্কারভাবেই মনে হবে ‘সরাসরি রাজস্ব ফান্ডের টাকা দিন দুপুরে ডাকাতি করে আত্মসাতৎ করা হয়েছে।’ লোক মারফত জানা গেছে রাজস্ব ফান্ড ছাড়াও উন্নয়ন ফান্ড থেকে বেআইনীভাবে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন ও আত্মসাত করা হয়েছে। কি করে একজন সরকারী যুগ্ম সচিব এই অপকর্ম সম্পাদন করে থাকেন তা কারো বোধগম্য নয়। ফাইল ছাড়া তিনি প্রতিনিয়ত চেকে স্বাক্ষর করেন। অ.ঝ চযধষঃ চষধহঃ এর ৪৫ (পয়তাল্লিশ) কোটি টাকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে মাস্টার রোলের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেনের মাধ্যমে ফাইল উপস্থাপন করে মালামাল ক্রয়ের নামে প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকার নথি উপস্থাপন করে ৩৫ (পয়ত্রিশ) কোটি টাকা মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম কর্তৃক আত্মসাত করেছেন। সেই আত্মসাতের টাকার মধ্যে ১৯ (উনিশ) কোটি টাকা দিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী সংলগ্ন এলাকায় কাশেম কটনের সামনে এন্টিকেসি কোরিয়ান কারখানা নামে একটি ফ্যাক্টরি ক্রয় করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ৪০ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৫ কোটির মালামাল ক্রয় করা হয়েছে । সিটি কর্পোরেশন এর রক্ষিত মালামাল সরজমিনে পরিদর্শন করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। ডি পি পি প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎতের গাড়ি, হোন্ডা, বীম লিফটার গাড়ি ক্রয়ের নামে চরম দূনীতির মাধ্যমে মাস্টার রোলের ইঞ্জিনিয়ার তানভীরের মাধ্যমে ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার নথি উপস্থাপন করে ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। মাত্র ৫ কোটি টাকার মালামাল ক্রয় করা হয়েছে তা সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানে রক্ষিত মালামাল সরজমিনে পরিদর্শন করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। টঙ্গী জোনাল অফিসের সাবেক টঙ্গী পৌর অডিটোরিয়ামে ১টি টাকার মালামাল ক্রয় না করে প্রায় ৩৫ (পয়ত্রিশ) লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেখানে কোন ফ্যান, বিদ্যুৎতের লাইট, বিদ্যুৎতের তার, বিদ্যুৎতের বক্স ক্রয় না করে সমস্ত টাকা লুটপাত করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। মাসিক সভার রেজুলেশনের কপি দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সবচাইতে বড় দূর্নীতি হয়েছে গত ০২টি বিশ্ব এজতেমার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে। গত ১০-০২-১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ব এজতেমায় কোন রাস্তাঘাট তৈরী বা মেরামত না করে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে এবং গত ২৮/১২/২০১৯ পরবর্তী বিশ্ব এজতেমায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। মাসিক সভার দুইটি রেজুলেশনের কপি দেখলে দূর্নীতির চিত্র পাওয়া যাবে। দুটি এজতেমায় মোট (৪+৯) = ১৩ (তের) কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। বিশ্ব এজতেমার এই বড় দূর্নীতির সাথে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সরাসরি জড়িত। একনেক সভায় বরাদ্দকৃত ৮৫০০ (আট হাজার পাঁচশত) টাকার মধ্যে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেই টাকা থেকে ঙাবৎষধঢ়ঢ়রহম প্রকল্পের প্রায় ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। বিশেষ করে কাশিমপুর এলাকা, কোনাবাড়ি এলাকা, কাউলতিয়া এলাকা এবং বাসন এলাকায় ঙাবৎষধঢ়ঢ়রহম প্রকল্পের দূর্নীতির মাধ্যমে সবচাইতে বেশি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত টেন্ডার নিউজ দেখলে তার যথেষ্ঠ প্রমাণ হাতে নাতে ধরা পরবে। জ.ঋ.ছ ভূঁয়া প্রকল্পের ফাইল স্বাক্ষর না করার কারনে ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ারকে প্রথমে ঙ ঝ উ করে নগর ভবনে সংযুক্ত করা হয় এবং কোনাবাড়ি জোনের ভূঁয়া ঙাবৎষধঢ়ঢ়রহম প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা ফাইলে স্বাক্ষর না করার কারনে মেয়রের বন্ধু মনিরুল ইসলাম ঠিকাদারের মাধ্যমে (৬৬ কোটি) টাকার ফাইলের জন্য হত্যার পরিকলাপনা করা হয়। ভূঁয়া প্রকল্পের ফাইল দ্রুত তৈরী করার জন্য যারা গাড়ি ব্যবহারের ঘ ঃরঃষব নয় তাদেরও প্রত্যেককে একটি করে গাড়ি দেওয়া হয়েছে। সবচাইতে বেশী ভূঁয়া ফাইল তৈরী করা হয়েছে ড্রেন পরিষ্কার শাখা, পানি সরবরাহ শাখা, গাড়ি শাখা ও বিদ্যুৎ শাখা হতে। গত দুই বছরের সংশ্লিষ্ট শাখার ফাইল তলব করলে বিষয়টি ১০০ ভাগ প্রমানিত হবে। বাংলাদেশের কোন সিটি কর্পোরেশনে এত বড় দূর্নীতি কোনদিন হয়নি। গত কয়েক মাস আগে সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৬৬ টি জন কাউন্সিলরসহ ১০০ জন লোককে নিয়ে মেয়র সাহেব সিটি কর্পোরেশনের টাকা দিয়ে চীন ভ্রমন করেছেন। তাতে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ভূঁয়া আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই টাকা উত্তোলন ও খরচ করা হয়। তার দূর্নীতি নিয়ে কেউ যাতে কোন কথা বলতে না পাওে এজন্য তিনি এই অপকর্মটি করেছেন। আমিনুল ইসলাম উক্ত টাকা থেকে ৫% পেয়েছেন। মন্ত্রনালয়ের অনুমতি ছাড়া তিনি কমপক্ষে ১০ বার বিদেশ ভ্রমন করেছেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিছুদিন আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার একজন চেয়ারম্যান মন্ত্রনালয়ের অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করার কারনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে মেযরকে এই কারনে ১০ বার সাসপেন্ড করা যেতে পারে।
উন্নয়ন ফান্ড এবং ডি পি পি প্রকল্পের টাকা মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চাপ সৃষ্টি করে বেআইনিভাবে কয়েক কোটি টাকা কিবরিয়ার মাধ্যমে উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়েছে। যাতে তার দূর্নীতি ও হত্যাকান্ড নিয়ে কেউ মুখ না খোলেন, এটা একধরনের আইওয়াশ। বড় বড় দুটি প্রকল্পের পি ডি বানানো হয়েছে দুইজন সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে, একজনের নাম আরিফ হোসেন, আরেকজনের নাম ইব্রাহিম খলিল। অথচ, সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী জোনাল অফিসে সহকারী ও নির্বাহী প্রকৌশলী রয়েছে তারপরও কি করে তাদের পি ডি বানানো হয়েছে এ প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। এখানে পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে তাদের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার সাথে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সরাসরি জরিত। সিটি কর্পোরেশনের চেক বই দেখলে বুঝা যাবে গত দুই বছরে মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিলে প্রায় ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। মাসিক সভার রেজুলেশনের মুল কপি যেগুলো কাউন্সিলরদের দেওয়া হয় সেগুলো থাকে ৬ পাতা, আর যেগুলো অফিসে সংরক্ষন করা হয় সেগুলো থাকে ৮ পাতা। পরবর্তীতে মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু কিছু প্রকল্পের রেজুলেশন সংরক্ষণ করেন যেগুলো কাউসিলররা জানেন না। পৌরসসভা থাকাকালীন যেসমস্ত পুরাতন ট্রাক, রোড রোলার ও অন্যান্য বাতিল ও অকেজো গাড়ি টঙ্গি জোনাল অফিস, মেঘনা কারখানার পূর্বপাশে পৌরসভার জায়গায়, নগর ভবনের ভিতরে ও আশেপাশে রক্ষিত ছিল সেই গাড়িগুলি প্রত্যেকটি ১০ বার করে মেরামত দেখিয়ে (প্রতিবার ৫ লাখ টাকা করে) কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আত্মসাত করেছেন। ভূঁয়া জঋছ প্রতিটি গাড়ির নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ৬ মাস পর সকল কাউন্সিলরদের ও সিটি কর্পোরেশনের বড় বড় কর্মকর্তাসহ বিমান যোগে ৭ দিন কক্সবাজার ভ্রমণ করিয়েছেন। কারন তার দূর্নীতির ব্যাপারে কেউ যাতে মুখ না খোলে সেই জন্য এই কাজটি করেছেন। তাতে সিটি কর্পোরেশনের ২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরবর্তীতে ভূঁয়া ফাইলের মাধ্যমে উক্ত টাকা অফিস থেকে উত্তোলন করে মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়েছেন।
সরকারের টাকায় দানবীর!
করোনাকালেও সরকারী ত্রাণ নিয়ে ভয়ঙ্কও জালিয়াতি করেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রী করোনার সময় যে সমস্ত ত্রাণ গরিব মানুষদের জন্য দিয়েছেন সে ত্রাণের বস্তা গায়েব করে নিজের নামে বিলি করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের টাকা অবৈধভাবে আত্মসাত করে ত্রাণের মালামাল কিনে নিজের নাম ব্যবহার করে বিলি বন্টন করেছেন। বিষয়টি কাউসিলরগন অবহিত হওয়ার পর মেয়র সাহেব ভুল স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন ভবিষ্যতে এরকম আর হবে না। তিনি দলীয় মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার জানা উচিত ছিল এটা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের মালামাল।